শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
পাবনার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বকুল শেখ হত্যার প্রতিবাদে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় কয়েকটি বাড়িসহ অন্তত ২০টি দোকান ও পাঁচটি গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত বকুল শেখের জানাজা ও দাফন শেষে ফেরার পথে শহরের অনন্ত মোড় এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। হামলাকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলে তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাবনায় দোগাছি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বকুল শেখকে শুক্রবার রাতে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেন কয়েক হাজার মানুষ। এতে নারীরাও অংশ নেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে এক পথসভায় বক্তারা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
পথসভায় বক্তব্য দেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু, দোগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী মাসুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা শহরের অনন্ত মোড়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের চাঁদা তোলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোখলেস প্রামাণিক ও তার ভাই রানা। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীকে নিয়ে সম্প্রতি চাঁদাবাজি বন্ধ করে অটোস্ট্যান্ড তুলে দেন বকুল শেখ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুলকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে এ হত্যার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পাবনা থানার ওসি মোহাম্মদ নাছিম আহম্মেদ জানান, অনন্ত বাজার এলাকার টেম্পো ও সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে মোখলেছ প্রামাণিক গ্রুপ এবং বকুল শেখ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলছিল। তারই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানান, নিহতের দাফন-কাফন শেষে মুসল্লিরা ফেরার পথে অনন্ত বাজার এলাকায় আসার পর ভেতরে থাকা কিছু দুস্কৃতকারী লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে দোকানপাটে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।